এরপর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ২৬টি কিন্তু চেমসফোর্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে যে ১১ জন ক্রিকেটার প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁদের চেয়ে সৌভাগ্যবান বোধকরি আর কেউই নেই। ২৭টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ২৭টি একাদশ বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রেখেছে, কিন্তু চেমসফোর্ডের ওই ১১ জন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের। এই ১১ জনের একজন, অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম অমর হয়ে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের সঙ্গে টস করতে নামা প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে।
আজ থেকে ১৫ বছর আগের কথা। অনেকের স্মৃতিতেই চেমসফোর্ডের সেই প্রথম একাদশ উজ্জ্বল হয়ে আছে, অনেকেরই সেই স্মৃতি হয়ে গেছে ঘোলাটে। আজ আরও একটি বিশ্বকাপের প্রাক্কালে বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের নামগুলো একটু স্মরণ করে নেওয়াটা বোধ হয় ইতিহাসের একপ্রকার দায় শোধই।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম একাদশটি ছিল এ রকম—শাহরিয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন, আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম, নাঈমুর রহমান, খালেদ মাসুদ, খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিক, এনামুল হক, হাসিবুল হোসেন ও মঞ্জুরুল ইসলাম।
ঐতিহাসিক এই ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কিন্তু খুব একটা ভালো ছিল না। খুব সম্ভবত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নেমে ক্রিকেটাররা ভুগেছিলেন প্রচণ্ড স্নায়ুচাপে। পাশাপাশি চেমসফোর্ডে সেদিন ছিল প্রচণ্ড শীত। ইংলিশ কন্ডিশনে অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ সেদিন জিওফ অ্যালট, ক্রিস কেয়ার্নস ও গ্যাভিন লারসেনের মতো বোলারদের বিপক্ষে ছিল ভয়ংকর নড়বড়ে। টসজয়ী নিউজিল্যান্ড ৩৭ ওভারেই বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়েছিল ১১৬ রানে।
নিজেদের সংগ্রহ রক্ষা করতে নেমে বল হাতে সেদিন খুব একটা খারাপ করেননি বাংলাদেশি বোলাররা। নাথান অ্যাস্টলকে আমিনুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করে বাঁহাতি পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম হয়ে যান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটশিকারি বোলারে। বাংলাদেশের রান টপকে যেতে ৩৩ ওভার ব্যাট করতে হয়েছিল কিউইদের। কিন্তু এর মধ্যেই তারা হারায় নিজেদের চার উইকেট। মঞ্জুরুলের পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষে সেদিন উইকেট শিকার করেছিলেন হাসিবুল হোসেন, মোহাম্মদ রফিক এবং নাঈমুর রহমান। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছিল এনামুল হকের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া আকরাম খান করেছিলেন ১৬, নাঈমুর রহমান ১৮, আমিনুল ইসলাম ১৫ আর হাসিবুল হোসেন ১৬।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
Tags
বিনোদন