এয়ারটেল ও আইসিটি মন্ত্রনালয়ের যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল সার্ফিং সিটি হিসেবে গড়ে উঠবে কক্সবাজার

বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড, অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি মন্ত্রনালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশন এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যেন কক্সবাজারের গ্লোবাল ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি পায়, পর্যটন সাহায্যপ্রাপ্ত হয় এবং যেন প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশীপের মাধ্যমে কক্সবাজার একটি পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল সার্ফিং সিটি হিসেবে গড়ে ওঠে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে একই সাথে কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি শহরব্যাপী অ্যাডভান্সড হাই স্পীড ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পথ প্রশস্ত হবে।
আইসিটি মন্ত্রনালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর সহকারী সম্পাদক এস এম আশরাফুল ইসলাম এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আশরাফুল হক চৌধুরী নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি; আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম আশরাফুল ইসলাম; এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও পিডি শর্মা; চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আশরাফুল হক চৌধুরী; চিফ টেকনিক্যাল অফিসার সন্দীপন চক্রবর্তী; চিফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কক্সবাজার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সার্ফারদের জন্য একটি সার্ফিং ডেস্টিনেশনে পরিণত হয়েছে। প্রচুর পর্যটক ও সার্ফার পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত পরিদর্শন এবং সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ে সার্ফিং এর জন্য কক্সবাজারে আসেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কক্সবাজার নতুনভাবে পরিচিত হবে এবং পর্যটক ও সার্ফারদের মধ্যে নতুন আকর্ষনের সৃষ্টি হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি তার বক্তব্যে বলেন, “প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশীপের ক্ষেত্রে এটি একটি পথপ্রদর্শক এবং খুবই উদ্ভাবনী উদ্যোগ। কক্সবাজারকে আগামী দিনের একটি পরিবেশ বান্ধব ডিজিটাল সার্ফিং সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডকে পাশে পেয়ে আমি আনন্দিত”।
এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও পিডি শর্মা বলেন, “কানেক্টিভিটি এবং ডিজিটালাইজেশন একবিংশ শতাব্দীর মৌলিক চাহিদা। ইনোভেশন ও প্রযুক্তির সাহায্যে পৃথিবী এখন আরো কাছে চলে আসছে। আমি এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি এবং আমি বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে কক্সবাজার সারা বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হবে, শুধু তাই নয় এই উদ্যোগ সমুদ্রনগরীর অধিবাসীদের লাইফস্টাইলে বিপুল উন্নতি আনবে”।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে শহরের অধিবাসীদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং এটি দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের কক্সবাজারে ভ্রমণে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট সার্ফিং সিটির বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীরা চলার পথে তাদের পছন্দসই ডিভাইসে অথবা তাদের কম্পিউটার থেকে দ্রুতগতির ব্রাউজিং এক্সপেরিয়েন্স উপভোগ করতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post