ওয়াইফাই ৬ (Wi-Fi 6) এবং ওয়াইফাই ৭ (Wi-Fi 7) এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা সংযোগের গতি, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। প্রধান পার্থক্যগুলো হলো:
১. গতি (Speed):
ওয়াইফাই ৬: সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক গতি ৯.৬ Gbps।
ওয়াইফাই ৭: সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক গতি ৪৬ Gbps পর্যন্ত হতে পারে, যা Wi-Fi 6 এর চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি দ্রুত।
২. চ্যানেল ব্যান্ডউইথ:
ওয়াইফাই ৬: ২০, ৪০, ৮০, এবং ১৬০ MHz পর্যন্ত চ্যানেল ব্যান্ডউইথ সমর্থন করে।
ওয়াইফাই ৭: ২০, ৪০, ৮০, ১৬০ এবং নতুনভাবে ৩২০ MHz পর্যন্ত চ্যানেল ব্যান্ডউইথ সমর্থন করে, যা আরো বড় ডেটা প্যাকেট ট্রান্সফার করতে সক্ষম।
৩. লেটেন্সি (Latency):
ওয়াইফাই ৬: লেটেন্সি কমাতে OFDMA (Orthogonal Frequency-Division Multiple Access) এবং MU-MIMO প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ওয়াইফাই ৭: আগের প্রযুক্তিগুলো আরো উন্নত করেছে এবং নতুন Multi-Link Operation (MLO) যুক্ত করেছে, যা একাধিক লিঙ্ক ব্যবহার করে লেটেন্সি আরও কমায়।
৪. সংযোগের স্থায়িত্ব (Connection Stability):
ওয়াইফাই ৬: কনজেশন কমানোর জন্য BSS (Basic Service Set) Coloring প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ওয়াইফাই ৭: আরো উন্নত স্থায়িত্ব ও দক্ষতার জন্য Multi-RU (Resource Units) ও Enhanced BSS Coloring ব্যবহার করে।
৫. ডিভাইস সমর্থন:
ওয়াইফাই ৬: একই সময়ে বেশি ডিভাইস সংযোগ করতে সক্ষম, যা IoT ডিভাইস এবং স্মার্ট হোমের জন্য কার্যকর।
ওয়াইফাই ৭: আরও বেশি ডিভাইস সমর্থন করে এবং বৃহৎ ডেটা ট্রাফিক ও কনজেশন আরও ভালোভাবে সামলাতে পারে।
৬. ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড:
ওয়াইফাই ৬: ২.৪ GHz এবং ৫ GHz ব্যান্ডে কাজ করে।
ওয়াইফাই ৭: ২.৪ GHz, ৫ GHz এবং নতুন ৬ GHz ব্যান্ডে কাজ করতে পারে, যা বেশি ট্রাফিক এবং দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার সমর্থন করে।
সারাংশে, ওয়াইফাই ৭ আগের তুলনায় উচ্চতর গতি, কম লেটেন্সি, এবং আরও বেশি কার্যক্ষমতা নিয়ে আসে, যা বড় মাপের নেটওয়ার্কিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ৮কে ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদির জন্য আদর্শ।