অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ছিল কৃষক। খুবই সৎ আর আল্লাহভীরু লোক ছিল সে। কিন্তু কিছুতেই সে তার সংসারের অবস্থার উন্নতি করতে পারছিল না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতো। প্রতিটা পয়সা হিসাব করে খরচ করতো। কিন্তু তুবও দেখা যেত, একটা পয়সাও সে জমাতে পারছে না। সারাজীবন পরিশ্রম করেও তার মনে হলো আগে যেমন ছিল তার অবস্থা, এখনো তেমন আছে। কোনই উন্নতি হয়নি।
একদিন ফজরের নামাজ পড়ার সময় কৃষকটি সিজদায় পড়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করতে লাগলো, 'দয়াময় করুণাময়, তুমিই পার আমার অবস্থা বদলাতে। তুমি আমাদের ধন-দৌলত দাও। তুমি ছাড়া এই দুনিয়ার কারো কাছে চাইলেও আমি কিছু পাব না। আমার রান্না ঘরের চুলার ওপর তুমি আমাকে ধন-দৌলত দাও।'
এই মুনাজাত করে সামান্য কিছু নাস্তা খেয়ে প্রতিদিনের মতো সেদিনও সে কাজ করতে মাঠে চলে গেল। এক মনে কাজ করছে সে। হঠাৎ একটা কাঁটা গাছে তার কাপড় জড়িয়ে কাপড়টা ছিঁড়ে গেল। রাগে-দুঃখে তার কান্না আসতে লাগলো। এমনিই সে গরিব মানুষ। তার ওপর জামাটি ছিঁড়ে যাওয়ায় কষ্ট হওয়াটা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। সে কোদাল চালিয়ে কাঁটা গাছটি শেকড় সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে লাগলো। হঠাৎ কোন কিছুর সাথে তার কোদাল লেগে ঝন ঝন শব্দ ভেসে উঠলো। চাষি দেখলো একটা তামার কলস। তার ঢাকনা খুলে সে অবাক হয়ে গেল। রূপার টাকায় কলস পুরো ভরা। খুশিতে তার চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলো।
কিন্তু কয়েক মিনিট পর তার মনে পড়লো সে টাকা চেয়েছিল রান্না ঘরের চুলার ওপর। কিন্তু তা পাওয়া গেল মাঠের জমির নিচে। সে বললো, আমি এই টাকা নেব না। আল্লাহ যদি আমাকে টাকা দিতেই চান, তবে চুলার ওপরই দিতে হবে।
এরপর সে বাড়ি চলে গেল। কলসভর্তি টাকা সেখানেই পড়ে রইলো। বাড়িতে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে সব কথা খুলে বললো। সে তো এসব কথা শুনে রেগে আগুন। বলে কি? এমন বোকাও আছে আল্লাহর দুনিয়ায়! কিন্তু সেই একই কথা।
কৃষক রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়লো, তখন তার স্ত্রী তার এক প্রতিবেশীকে সব কথা জানিয়ে বললো, ‘আমার স্বামী তো দুনিয়ার সবচেয়ে বোকা মানুষ। এক কাজ কর, তুমি গিয়ে টাকাগুলো নিয়ে এসো। তোমার অর্ধেক, আমার অর্ধেক।’
প্রতিবেশী তো মহাখুশি। সে তক্ষুনি কোদাল আর শাবল নিয়ে সেখানে চলে গেল। কলসটি খুঁজে পেতে কোন সমস্যা হলো না। তবে কলসে সত্যি সত্যি রূপার টাকা আছে কি না, জানতে সে ঢাকনাটা খুললো। কিন্তু চমকে উঠলো, ভয়ে তার রক্ত জমে যেতে লাগলো। কলসটা যে কালো কালো বিষাক্ত সাপে ভরা! ফোস ফোস করছে। আরেকটু হলে তাকে কামড় দিয়েই ফেলতো। সে বুদ্ধি করে কলসটার মুখ বন্ধ করলো। তারপর ভাবতে লাগলো, মহিলাটি তো তাকে মেরে ফেলছিল। সে তো আমার শত্রু। নইলে এভাবে লোভ দেখিয়ে কাউকে সাপে ভর্তি কলসের দিকে পাঠায়! আরেকটু হলেই তো আমি মারা পড়তাম। এর প্রতিশোধ আমি নেবই।
এসব কিছু ভেবে সে সাপে ভর্তি কলসটাকে নিয়ে চুপি চুপি সেই কৃষকের বাড়ি গেল। তারপর আরো চুপি চুপি কারো টের পাওয়ার আগেই সে সাপভর্তি কলসটি চুলার ওপর ঢেলে দিল। ভাবলো, মহিলাটা তো সকালে চুলার কাছে আসবেই রান্না করতে। তখন কোন না কোন সাপ তাকে কামড়াবেই।
সকালে সেই কৃষক যথারীতি ফজরের নামাজ পড়বে বলে ওযু করার জন্য রান্না ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে সে দেখলো চুলার ওপর কি যেন চকচক করছে। কাছে গিয়ে দেখলো, একি! এ যে সব রূপার টাকা! সে তক্ষুনি সিজদায় পড়ে গেল। বললো, 'সবই আল্লাহ তোমার দয়া! তোমার কাছে হাজার শোকর। তোমার কাছে চুলার ওপর টাকা চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে তাই দিয়েছো!'
একদিন ফজরের নামাজ পড়ার সময় কৃষকটি সিজদায় পড়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করতে লাগলো, 'দয়াময় করুণাময়, তুমিই পার আমার অবস্থা বদলাতে। তুমি আমাদের ধন-দৌলত দাও। তুমি ছাড়া এই দুনিয়ার কারো কাছে চাইলেও আমি কিছু পাব না। আমার রান্না ঘরের চুলার ওপর তুমি আমাকে ধন-দৌলত দাও।'
এই মুনাজাত করে সামান্য কিছু নাস্তা খেয়ে প্রতিদিনের মতো সেদিনও সে কাজ করতে মাঠে চলে গেল। এক মনে কাজ করছে সে। হঠাৎ একটা কাঁটা গাছে তার কাপড় জড়িয়ে কাপড়টা ছিঁড়ে গেল। রাগে-দুঃখে তার কান্না আসতে লাগলো। এমনিই সে গরিব মানুষ। তার ওপর জামাটি ছিঁড়ে যাওয়ায় কষ্ট হওয়াটা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। সে কোদাল চালিয়ে কাঁটা গাছটি শেকড় সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে লাগলো। হঠাৎ কোন কিছুর সাথে তার কোদাল লেগে ঝন ঝন শব্দ ভেসে উঠলো। চাষি দেখলো একটা তামার কলস। তার ঢাকনা খুলে সে অবাক হয়ে গেল। রূপার টাকায় কলস পুরো ভরা। খুশিতে তার চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলো।
কিন্তু কয়েক মিনিট পর তার মনে পড়লো সে টাকা চেয়েছিল রান্না ঘরের চুলার ওপর। কিন্তু তা পাওয়া গেল মাঠের জমির নিচে। সে বললো, আমি এই টাকা নেব না। আল্লাহ যদি আমাকে টাকা দিতেই চান, তবে চুলার ওপরই দিতে হবে।
এরপর সে বাড়ি চলে গেল। কলসভর্তি টাকা সেখানেই পড়ে রইলো। বাড়িতে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে সব কথা খুলে বললো। সে তো এসব কথা শুনে রেগে আগুন। বলে কি? এমন বোকাও আছে আল্লাহর দুনিয়ায়! কিন্তু সেই একই কথা।
কৃষক রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়লো, তখন তার স্ত্রী তার এক প্রতিবেশীকে সব কথা জানিয়ে বললো, ‘আমার স্বামী তো দুনিয়ার সবচেয়ে বোকা মানুষ। এক কাজ কর, তুমি গিয়ে টাকাগুলো নিয়ে এসো। তোমার অর্ধেক, আমার অর্ধেক।’
প্রতিবেশী তো মহাখুশি। সে তক্ষুনি কোদাল আর শাবল নিয়ে সেখানে চলে গেল। কলসটি খুঁজে পেতে কোন সমস্যা হলো না। তবে কলসে সত্যি সত্যি রূপার টাকা আছে কি না, জানতে সে ঢাকনাটা খুললো। কিন্তু চমকে উঠলো, ভয়ে তার রক্ত জমে যেতে লাগলো। কলসটা যে কালো কালো বিষাক্ত সাপে ভরা! ফোস ফোস করছে। আরেকটু হলে তাকে কামড় দিয়েই ফেলতো। সে বুদ্ধি করে কলসটার মুখ বন্ধ করলো। তারপর ভাবতে লাগলো, মহিলাটি তো তাকে মেরে ফেলছিল। সে তো আমার শত্রু। নইলে এভাবে লোভ দেখিয়ে কাউকে সাপে ভর্তি কলসের দিকে পাঠায়! আরেকটু হলেই তো আমি মারা পড়তাম। এর প্রতিশোধ আমি নেবই।
এসব কিছু ভেবে সে সাপে ভর্তি কলসটাকে নিয়ে চুপি চুপি সেই কৃষকের বাড়ি গেল। তারপর আরো চুপি চুপি কারো টের পাওয়ার আগেই সে সাপভর্তি কলসটি চুলার ওপর ঢেলে দিল। ভাবলো, মহিলাটা তো সকালে চুলার কাছে আসবেই রান্না করতে। তখন কোন না কোন সাপ তাকে কামড়াবেই।
সকালে সেই কৃষক যথারীতি ফজরের নামাজ পড়বে বলে ওযু করার জন্য রান্না ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে সে দেখলো চুলার ওপর কি যেন চকচক করছে। কাছে গিয়ে দেখলো, একি! এ যে সব রূপার টাকা! সে তক্ষুনি সিজদায় পড়ে গেল। বললো, 'সবই আল্লাহ তোমার দয়া! তোমার কাছে হাজার শোকর। তোমার কাছে চুলার ওপর টাকা চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে তাই দিয়েছো!'